“পথিক”-নুসরাত শারমিন!
চারিদিকে শুধু অন্ধকার
আকাশ ছেয়েছে কালো মেঘে,
আসবে বুঝি ঝড়ো হাওয়া
নামবে বৃষ্টির ধারা।
ভয়ে আমার গা থরথর
ঘরে যে আমি একলা,
এমন সময় ঠকঠক করে
বাজছে দরজার কড়া।
বলছি আমি ওখানে কেগো?
বাহির থেকে আওয়াজ এলো
আমি গো আমি-
কন্ঠ শুনেই হৃদয়
আমার উঠিলো কাপিয়া
দৌড়ে গিয়ে দেখি
দরজা খুলিয়া,
আমার প্রাণের প্রিয়
এসেছে পথ ভুলিয়া।
দেখিয়া তারে নয়ন
গেলো জুড়িয়া,
চরন দুটো দিলো মোর ঘরে।
বসিলো পাটি বিছায়ে
আনন্দে আমি কি যে করিবো,
ভেবে নাহি তাহা পাই
হঠাৎ করেই মেঘের শব্দে
উঠিলাম আমি কাপিয়া।
প্রিয় আমার হাত দুটো ধরিয়া বলে
ভয় পেওনা এইতো আমি আছি,
পরক্ষনেই হাতদুটো নিলাম ছুটিয়া।
প্রিয় বললো, কিগো হাত ছাড়িলে কেনো?
আমি বললাম,যে হাত নিয়াছো
সরিয়ে একদিন সে হাত চাইনা ফিরিয়ে।
যে হাত দিয়ে ধরেছো তুমি অন্যকারো হাত
ফেলিয়া গিয়েছো মোরে এমনই কোনো রাত।
ভুলিনিকো আমি সেই রাত
আজো পড়ে মনে সেই,
নিঃশব্দে ফোপানো মোর কান্না।
পাইনিকো ফিরে তোমার হাত
তবে কেনো এসেছো ফিরিয়া
নিয়া করুনার হাত।
আমি চেয়েছিলাম তোমার ভালোবাসা
নয় কোনো করুনা,
আজ তুমি শুধু পথ ভোলা পথিক,
চলে যাও পথের বাঁকে,
বৃষ্টি থামিলে।
লেখক: নুসরাত শারমিন হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল।