ফেনী (জেলা) প্রতিনিধি:
ফেনীর দাগনভূঁঞার সন্তান ফরিদপুর মে. কলেজের শিক্ষার্থী নয়নের মরদেহ নিয়ে চলছে লুকোচুরি। এমন অভিযোগ করেন নয়নের পরিবার ও এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পসের বাইরে মুন্সিবাজার বাইবাস সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, সকালে ফরিদপুরের মুন্সিবাজার এলাকায় মরদেহ দেখে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
এর আগে ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নয়ন চন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। নয়ন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর এলাকার মৃত দিলীপ চন্দ্র নাথের ছেলে।
নয়নের বন্ধু মো. ওয়াকিফ উল আলম জানান, বেশ কিছু দিন ধরে নয়ন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তার ইচ্ছা ছিল একজন সার্জন হওয়ার কিন্তু আঙ্গুলে সমস্যা থাকার কারণে সে সার্জন হতে পারবে না। এটা জানার পর থেকে নয়ন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে কলেজের সিসি টিভি ফুটেজ অনুযায়ী, সকাল ৯টার দিকে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি শার্ট পরে ছাত্রাবাস থেকে বের হয় নয়ন। এ সময় সে তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ রুমে রেখে যায়।
নিখোঁজ নয়নের ভাই উত্তম কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে আমরা ফরিদপুরে আসছি, সব জায়গায় খুঁজেছি। নয়ন রুমমেটকে বলে গেছে ‘আমি একটু আসতেছি’ কিন্তু সে আর ফিরেনি। বিয়ষটি অপহরণ নাকি, নিজ থেকে আত্মগোপন তা বুঝতে পারছি না।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার নয়নের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। দুপুর ১ টার দিকে ছাত্ররা আমাকে জানায়, নয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়রি করা ছাড়াও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি র্যাব, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, মহাপরিচালক-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছে। এছাড়াও কলেজের নিজস্ব জনবল দিয়ে নয়নকে খোঁজা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.
Ata porikolpito hotta.koydin ageo akjon hindu mohilak avabe mara hoice.asob bocar hok
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি যে । আমরা ফেনী দাগনভূঞা সবাই চাই যে নয়নের সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের দেওয়া হোক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা ।