মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজীপুরঃ
গাজীপুর সদর দক্ষিণ সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহশিক্ষক সাইদুল ইসলামকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার(১১ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইদুল জানায়, ২০২০ সালে করোনাকালীন ভিকটিমের পরিবারের সবাইকে আরবি পড়ানোর জন্য গৃহশিক্ষক হিসেবে ভিকটিমের বাবা তাকে নিয়োগ দেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হলে ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ছয় মাস পর পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভিকটিমকে মৌখিকভাবে বিয়ে করেন সাইদুল। বিয়ের বিষয়টিকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভিকটিম ও তার পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন। মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে রাবেয়া আক্তারকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সাইদুল কিছুদিন উত্ত্যক্ত করা হতে বিরত থাকলেও গত দুই মাস ধরে ভিকটিমকে কলেজে এবং বাসার বাইরে যাওয়া-আসার পথে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
আটককৃত সাইদুল চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসা থেকে দাওরা পাস করে গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং এলাকার বিভিন্ন বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন। দুই মাস পূর্বে দুটি চাকরিই ছেড়ে দেন।
ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য নিজের চেহারা পরিবর্তন করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব তাকে আটক করে।