মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজীপুরঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্যালককে হত্যার পর টয়লেটে রেখে মাইকে নিখোঁজের ঘোষণা দেন দুলাভাই! পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেড়াইদেরচালা এলাকার মনিরুজ্জামান শিতলের বাড়ির টয়লেট থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম তফিকুল (৬) নেত্রকোনা জেলার নয়াপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। সে শ্রীপুরে বাবা-মার সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতো।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেড়াইদেরচালা এলাকার মনিরুজ্জামান শিতলের মেস বাড়ির টয়লেটে তফিকুলের মরদেহ দেখে ভাড়াটিয়ারা বাড়ির মালিকের ছেলেকে জানায়।
পুলিশ বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে শিশুটি তার দুলাভাই মাজহারের সঙ্গে যাচ্ছে। কিছু সময় পর বেলা ১১টার দিকে মাজহার মসজিদের মাইকে শ্যালক নিখোঁজের ঘোষণা দেন। এরপরই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় টয়লেটে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাজহারকে আটক করে পুলিশ।
বাড়ির মালিকের ছেলে শাকিল জানান, তাদের বাড়িটি ব্যাচেলরদের মেস। বাড়িতে বিভিন্ন কারখানার ৮০ জন শ্রমিক ভাড়া থাকেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির ভাড়াটিয়া সাগরের মাধ্যমে জানতে পারেন টয়লেটে একটি শিশুর মরদেহ পরে আছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
তফিকুলের মা বলেন, ‘গত শুক্রবার নেত্রকোনা থেকে স্ব-পরিবারে শ্রীপুরে আসি চাকরির সন্ধানে। এখানে এসে এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছি।
আজ সকাল ৯টার দিকে তফিকুল নাস্তা খেয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। তার দুলাভাই মাইকে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে। দুপুরে খবর পাই একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। গিয়ে দেখি আমার তফিকুল শুয়ে আছে।’
শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাজহারকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাজহার হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।