মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ:
সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা ধ্বংসকরণ মাদকদ্রব্য দেখে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এসব দেখতে খুব চমৎকার লাগছে! কিন্তু ধ্বংস করতেই হবে।মন্দের যত সুন্দর রূপেই হোক না কেন, সে মন্দই।ডাকাত যদি হাজার ধরণের কাপড়- চোপড় পড়ে আসে,সে ডাকাতই।এই মন্দকে আমাদের সরাতে হবে।সরাবার আইনানুগ পন্থা আছে। এই পন্থা হচ্ছে ধ্বংস করা।এইগুলো চিরতরে বন্ধ করার জন্যই ধ্বংস করা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় “মাদক দ্রব্য ধ্বংসকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা এক উদ্দেশ্যে কাজ করছি। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের কল্যাণ কাজ করা,আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের কল্যাণে কাজ করা, বিজিবি’র উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের কল্যাণে কাজ করা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই দেশমাতৃকার উচ্চ কল্যাণের জন্য কাজ করি।গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকেরা আমাদের ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন।যেখানে আমরা ভুল করি,তারা প্রচার করেন।আমরা তাদের স্বাগত জানাই।
তিনি বিজিবি’র উদ্দেশ্যে বলেন,পাহাড়, জঙ্গল, মশা, মাছি পেক কাঁদা, পানি মাড়িয়ে বিজিবি’র সদস্য ভাইয়েরা যে কাজগুলো করছেন,তাদের কাজের স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেতে পারেন।আমাদের সরকার তা দিচ্ছে। আমরা আশা করব গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের এই কাজগুলো তুলে ধরবেন।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও উত্তর-পূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, উপ মহাপরিচালক ও সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান, বিজিবিএম, পিএসসি, জি+, পরিচালক ও সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (২৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রুকন উদ্দিন কবির, পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ এহসান শাহ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’র সহকারী পরিচালক সাজেদুল হাসান,
শুল্ক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সহ , বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) কর্তৃক ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে জব্দকৃত প্রায় ১২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় তৈরী বিভিন্ন প্রকার মদ ৪৫ হাজার ৬৮১ বোতল, বিয়ার ১ হাজার ৭৩৭ বোতল, গাঁজা ৪৪৪.৮ কেজি, বিভিন্ন প্রকার বিড়ি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৪ প্যাকেট, ইয়াবা ট্যাবলেট ১হাজার ৪১৫ পিস ও তামাক পাতা ৩২.৫ কেজি।