ফেনী প্রতিনিধি:
দাগনভূঞায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল পলাশ নামের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ইতোমধ্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড গজারিয়া রোডের মালেক ভিলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পলাশ ৩নং পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবেদার শাখাওয়াত উল্যাহ মিয়ার নতুন বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার শাখাওয়াত উল্যাহ মিয়ার বড় ছেলে।
আহত পলাশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে প্রতিদিনের মতো সেদিনও নিজ বাসায় অবস্থান করছিলাম। তখনই ৩নং পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি তুষার আমাকে ফোন যোগে ডেকে নিচে আসতে বলে। তুষার আমার ভাতিজা সম্পর্কে সহজ মনে বাসা থেকে আমি নিচে নেমে আসি। আসার সাথে সাথেই হঠাৎ তিনটি সিএনজি থেকে তুষারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শান্ত, নোবেল, যুবলীগ নেতা বাবলু, মামুন, সজীব মুরাদ সহ একদল দুর্বৃত্ত নেমে দেশীয় অস্ত্র রট, চুরি, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে আমার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় রট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপর তারা আমাকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে সেই বাসার দারোয়ান এগিয়ে আসলে তারা সেখান থেকে স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলাশ বলেন, পরিবারে আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। পরিবারে আর অন্য কোনো সদস্য না থাকায় আমি এখনো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারিনি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, (নাম বলতে অনিচ্ছুক) এক ব্যক্তি বলেন, তাদের কাছে অনেক দেশীয় অস্ত্র থাকায় কেউই এগিয়ে আসে নি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত পলাশের স্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা তিনটি সিএনজি করে এসে বাসা থেকে ডেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে। আমার স্বামী সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক। রাজনীতির সাথে জড়িত। পারিবারিক সিদ্ধান্তে আগামী ১০ তারিখ তার প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক কারণে তার উপর পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।