মোঃ মোশফিকুর রহমান স্বপন , সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
কোয়ালিটির সাথে কোন কম্প্রোমাইজ করা হবে না। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সহ সকল নিয়ম মেনেই ধান ও চাল সংগ্রহ করতে হবে। তিনি গোদামে প্রবেশ করেই নিজ হাতে বস্তায় চাল ও ধান বের করে পরীক্ষা করেন। ধান ও চালের কোয়ালিটিতে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুশিয়ার করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।
তিনি আরও বলেন,কোনক্রমেই গুদামে খারাপ, ভাঙ্গা কিংবা বিবর্ণ চাল যেন না ঢুকে সে ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায়
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার খাদ্য গোদাম পরিদর্শন করে এসব কথা গুলো বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন,বোরো প্রকিউরমেন্ট চলছে। হাওরে অনেক জমিতে ধানের চাষ হলেও আগাম বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন,সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহয্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আর বাড়ানো হবে না।
মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি আরও বলেন,গত এক বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। সুনামগঞ্জে সম্প্রতি বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুদ গড়ে উঠবে। দেশে কোনো ভাবেই খাদ্য সংকট তৈরি হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো: রায়হানুল কবীর,পরিচালক (চলাচল,সংরক্ষণ ও সাইলো) মো. জামাল হোসেন,আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিলেট মো. মাইন উদ্দিন,জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকিব সাদ মো: সাইফুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রায়হান কবীর,উপজেলা আ,লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খাঁ,সাধারণ অমল কান্তি কর,
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বি.এম.মুশফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গোদাম অফিসার মোহাম্মদ মফিজুর রহমান,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া প্রমুখ।
এরপূর্বে সকালে মন্ত্রী সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন এবং বোরো প্রকিউরমেন্ট সফল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। এসময় মন্ত্রী খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গণে একটি ফলদ চারা গাছ রোপন করেন।