আপনি যদি মেয়ে অথবা ছেলে হয়ে থাকেন তবে আপনার বাবা আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরুষ – শ্রেষ্ঠ আদর্শ । সেই বাবার ভালোবাসা আর মমতা নিয়েই আপনি শিশু থেকে বড় হয়েছেন।
পুরুষ মানেই যদি ধর্ষক হয় তবে আপনার পিতা একজন ধর্ষক, আপনার ভাই একজন ধর্ষক এবং আপনার চৌদ্দ পুরুষ ধর্ষক ছিলো। একজন পুরুষের জন্য পুরো পুরুষ জাতিকে অপবাদ দিবেন না । দিন শেষে এই পুরুষের মাঝেই আপনার আশ্রয়স্থল। আপনার সুখের নীড়। দিনশেষে এই পুরুষ আপনাকে আগলিয়ে রাখে।
নারী আপনি সম্মানিত ছিলেন না। ইসলাম আপনাকে সম্মান দিয়েছে। কোনো একজন পুরুষ আপনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করেছে। আপনি যে পুরুষ জাতিকে ধর্ষক বলছেন।
খেয়াল করে দেখেন আপনার শিরায় উপ শিরায় সেই পুরুষের ভালোবাসা ও ঘামে ভেজা অর্থ দিয়ে আপনাকে পরম মমতায় তৈরি করেছে। যে পুরুষ জাতিকে ধর্ষক বলছেন না কেন ? সেই পুরুষ জাতিরাই পিতৃত্বের ভালোবাসা দিয়ে লালনপালন করেছে বলেই আজ আপনি শিশু থেকে নারী হয়ে একটি পরিবারের দায়িত্বশীল রমণী।
যে পুরুষ জাতিকে ধর্ষক বলছেন – এই পুরুষ জাতি আপনাদের স্ত্রীর সম্মানে সন্মানিত না করলে। আপনি নারীত্বের মর্যাদা পেতেন না। সব পুরুষ – পুরুষ নয়। সব নারী -নারী নয় ।
সবকিছুরেই ইতিবাচক – নেতিবাচক দিক আছে। নেগেটিভটা নিয়ে চিন্তা না করে পজিটিভটা নিয়ে চিন্তা করুন। আর একজনের দোষে বহুজনকে দোষারোপ না করে মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্বকে মূল্যায়ন করুন ।
লেখক,মো.লিমন আহমেদ
শিক্ষার্থী-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।